১০ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করতে পারছে না মালিকরা
এইচ এম আকতার, কামাল উদ্দিন সুমন : গ্যাস, বিদ্যুৎ
সংযোগ না পাওয়ায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের আবাসন শিল্প। এ সংকটের
কারণে প্রায় ১০ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যক্তি মালিক ও বিভিন্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা এ
খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এখন দু'চোখে অন্ধকার দেখছেন।
গ্যাস সংযোগ বন্ধ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ, এ্যাপার্টমেন্ট
নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বর্ধিতহারে উৎসে আয়কর ধার্যসহ নানা কারণে এ খাতে চরম
বিপর্যয় নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ৩৫ শতাংশ
এ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এ শিল্পে সুদের হার কমানোর কথা
বললেও সরকার নিষ্ক্রিয়।
জানা যায়, আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে দেশে বেসরকারি খাতে আবাসন শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই শিল্পে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সহস্রাধিক। এ খাতে ২৫
থেকে ৩০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, কাঠসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রির দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক দশক যাবত এ শিল্পের প্রসারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি নতুন করে আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রদানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এ শিল্প। জানা যায়, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি এবং ক্রেতা সাধারণের যৌথ বিনিয়োগে প্রায় ১০ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ক্রেতাদের অনেকেই ব্যাংকসহ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এসব এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে তা বসবাসের উপযোগী করা যাচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে প্রায় ৭শ' নতুন আবাসন প্রকল্পের কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ওইসব এ্যাপার্টমেন্ট তাদের কাছে হস্তান্তরের কাজও থেমে আছে। এছাড়াও এ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তরে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় অনেক ক্রেতা শেষ পর্যায়ের কিস্তির টাকাও পরিশোধ করছেন না। এতে সংশ্লিষ্ট হাউজিং কোম্পানিগুলোও সংকটের মধ্যে পড়েছে। রিহ্যাব সূত্রে জানা যায়, ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যক্তি মালিক ও বিভিন্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে রিহ্যাব সদস্য রয়েছে ৮২০। এর বাইরে রিয়েল স্টেট কোম্পানি রয়েছে প্রায় ৫শ'। এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই তারা সেসব ফ্ল্যাট বা বাসা বিক্রি ও ভাড়া দিতে পারছেন না। বরং দিনের পর দিন ব্যাংক ঋণের সুদ ফুলে ফেপে বড় আকার ধারণ করছে। এখন আসল তো দূরে থাক সুদের টাকা পরিশোধ করতেই দু'চোখে অন্ধকার দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে উদ্যোক্তারা যখন দিশেহারা, এ অবস্থায় ‘বর্ধিত উৎসে আয়কর' ব্যবস্থা ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের অন্যতম হাউজিং কোম্পানি রুহামা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ্যাপার্টমেন্ট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর সংগ্রহের হার প্রায় ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে।
এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও আবাসন শিল্পে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এই হার বর্গকিলোমিটার প্রতি ২ হাজার টাকা হারে ধার্য করা হয়েছে। উৎসে আয়কর বৃদ্ধির ফলে এ্যাপার্টমেন্টের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই রেজিস্ট্রেশন খরচ মাত্র ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ৫ শতাধিক এ্যাপার্টমেন্ট তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের অভাবে সেগুলো ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারছেন না। এ খাতে নতুন প্রকল্পও হাতে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। উৎসে আয়কর হ্রাস করে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার মাধ্যমে আবাসন খাতকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, নির্মাণ সম্পন্ন ভবনে সরকারের পক্ষ থেকে সোলার প্যানেল বসানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আগে থেকে এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা না থাকায় এসব ভবনে হঠাৎ করে সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব নয়। তবে নতুন ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল বসানো যেতে পারে। গ্যাসের সংযোগ না দিতে পারলে সরকারকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
একইসাথে পাইপলাইনে গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে ‘প্রি-পেইড' ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানিয়েছেন তারা। রিহ্যাব'র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী তানভীরুল হক প্রবাল জানান, অব্যাহত বিদ্যুৎ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবশ্যই সরকারকে ফিরে আসতে হবে। সরকার সিএনজি দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যকর করতে পারলে আবাসিক গ্যাসের কোন সংকট থাকবে না। পাবলিক সিএনজি দিয়ে প্রাইভেট কার চালানো কোনভাবেই ঠিক নয়। এ থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট এন্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন'র (বিডিইএফ) সভাপতি প্রকৌশলী সরদার আমিন দাবি করেন, দেশে কোন গ্যাস সংকট নেই। দেশী সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে সরকার বিদেশী প্রভূদের স্বার্থ রক্ষায় দেশে কৃত্রিম গ্যাস সংকট তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস যন্ত্রাংশের একটি বড় বাজার। ব্যবসার স্বার্থে একটি কুচক্রি মহল পাইপ লাইনে গ্যাসের পরিবর্তে এলপিইজি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের অজুহাত এনে ব্যয়বহুল সোলার প্যানেল বসানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে। তিনি বলেন, সাধারণ বিদ্যুতের চেয়ে সোলার প্যানেলে ১৫ গুণ খরচ বেশি। জনগণের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অন্যায় অযৌক্তিক ও ভুল সিদ্ধান্ত থেকে অবশ্যই সরকারকে সরে আসতে হবে। রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সভাপতি নসরুল হামিদ বিপু এমপি জানান, আবাসন শিল্পের উদ্যোক্তারা ভালো নেই। আবাসন শিল্পের পুরো পরিস্থিতি বর্তমানে ঘোলাটে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ধসের ঘটনার পর আবাসন খাতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে।
ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে। তাছাড়া সুদের হার বেশি হওয়াতে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, সরকার দেশের স্বার্থে গ্যাস ব্যবহার না করে বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। তারা আবাসিক গ্যাস সংযোগ না দিয়ে সিএনজিতে ব্যবহার করছে। একই সাথে বিদেশী কোম্পানির স্বার্থে অবৈধ চুক্তি করছে সরকার। এ চুক্তি বাতিল না করলে তাহলে আবাসিক গ্যাস সংকট আরো তীব্র হবে।
জানা যায়, আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে দেশে বেসরকারি খাতে আবাসন শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই শিল্পে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সহস্রাধিক। এ খাতে ২৫
থেকে ৩০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু রড, সিমেন্ট, ইট, বালু, কাঠসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রির দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক দশক যাবত এ শিল্পের প্রসারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি নতুন করে আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রদানও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এ শিল্প। জানা যায়, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি এবং ক্রেতা সাধারণের যৌথ বিনিয়োগে প্রায় ১০ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ক্রেতাদের অনেকেই ব্যাংকসহ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এসব এ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে তা বসবাসের উপযোগী করা যাচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে প্রায় ৭শ' নতুন আবাসন প্রকল্পের কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে ওইসব এ্যাপার্টমেন্ট তাদের কাছে হস্তান্তরের কাজও থেমে আছে। এছাড়াও এ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তরে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় অনেক ক্রেতা শেষ পর্যায়ের কিস্তির টাকাও পরিশোধ করছেন না। এতে সংশ্লিষ্ট হাউজিং কোম্পানিগুলোও সংকটের মধ্যে পড়েছে। রিহ্যাব সূত্রে জানা যায়, ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যক্তি মালিক ও বিভিন্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে রিহ্যাব সদস্য রয়েছে ৮২০। এর বাইরে রিয়েল স্টেট কোম্পানি রয়েছে প্রায় ৫শ'। এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই তারা সেসব ফ্ল্যাট বা বাসা বিক্রি ও ভাড়া দিতে পারছেন না। বরং দিনের পর দিন ব্যাংক ঋণের সুদ ফুলে ফেপে বড় আকার ধারণ করছে। এখন আসল তো দূরে থাক সুদের টাকা পরিশোধ করতেই দু'চোখে অন্ধকার দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানায়, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে উদ্যোক্তারা যখন দিশেহারা, এ অবস্থায় ‘বর্ধিত উৎসে আয়কর' ব্যবস্থা ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের অন্যতম হাউজিং কোম্পানি রুহামা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ্যাপার্টমেন্ট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর সংগ্রহের হার প্রায় ১০ গুণ বাড়ানো হয়েছে।
এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও আবাসন শিল্পে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এই হার বর্গকিলোমিটার প্রতি ২ হাজার টাকা হারে ধার্য করা হয়েছে। উৎসে আয়কর বৃদ্ধির ফলে এ্যাপার্টমেন্টের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই রেজিস্ট্রেশন খরচ মাত্র ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ৫ শতাধিক এ্যাপার্টমেন্ট তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের অভাবে সেগুলো ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারছেন না। এ খাতে নতুন প্রকল্পও হাতে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। উৎসে আয়কর হ্রাস করে যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার মাধ্যমে আবাসন খাতকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, নির্মাণ সম্পন্ন ভবনে সরকারের পক্ষ থেকে সোলার প্যানেল বসানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আগে থেকে এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা না থাকায় এসব ভবনে হঠাৎ করে সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব নয়। তবে নতুন ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল বসানো যেতে পারে। গ্যাসের সংযোগ না দিতে পারলে সরকারকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
একইসাথে পাইপলাইনে গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে ‘প্রি-পেইড' ব্যবস্থা চালুরও দাবি জানিয়েছেন তারা। রিহ্যাব'র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী তানভীরুল হক প্রবাল জানান, অব্যাহত বিদ্যুৎ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবশ্যই সরকারকে ফিরে আসতে হবে। সরকার সিএনজি দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যকর করতে পারলে আবাসিক গ্যাসের কোন সংকট থাকবে না। পাবলিক সিএনজি দিয়ে প্রাইভেট কার চালানো কোনভাবেই ঠিক নয়। এ থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট এন্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন'র (বিডিইএফ) সভাপতি প্রকৌশলী সরদার আমিন দাবি করেন, দেশে কোন গ্যাস সংকট নেই। দেশী সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে সরকার বিদেশী প্রভূদের স্বার্থ রক্ষায় দেশে কৃত্রিম গ্যাস সংকট তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস যন্ত্রাংশের একটি বড় বাজার। ব্যবসার স্বার্থে একটি কুচক্রি মহল পাইপ লাইনে গ্যাসের পরিবর্তে এলপিইজি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের অজুহাত এনে ব্যয়বহুল সোলার প্যানেল বসানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে। তিনি বলেন, সাধারণ বিদ্যুতের চেয়ে সোলার প্যানেলে ১৫ গুণ খরচ বেশি। জনগণের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অন্যায় অযৌক্তিক ও ভুল সিদ্ধান্ত থেকে অবশ্যই সরকারকে সরে আসতে হবে। রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এর সভাপতি নসরুল হামিদ বিপু এমপি জানান, আবাসন শিল্পের উদ্যোক্তারা ভালো নেই। আবাসন শিল্পের পুরো পরিস্থিতি বর্তমানে ঘোলাটে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ধসের ঘটনার পর আবাসন খাতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে।
ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে। তাছাড়া সুদের হার বেশি হওয়াতে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, সরকার দেশের স্বার্থে গ্যাস ব্যবহার না করে বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। তারা আবাসিক গ্যাস সংযোগ না দিয়ে সিএনজিতে ব্যবহার করছে। একই সাথে বিদেশী কোম্পানির স্বার্থে অবৈধ চুক্তি করছে সরকার। এ চুক্তি বাতিল না করলে তাহলে আবাসিক গ্যাস সংকট আরো তীব্র হবে।
Source: http://www.dailysangram.com
0 Comments